ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়: অ্যাটর্নি জেনারেল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৪:৫৯:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৪:৫৯:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আজ ঐক্যের প্রয়োজন, ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয়। সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ছাড়া, সংস্কার ছাড়া বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা কঠিন এবং দুরহ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ-পদবি দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত। কিন্তু, খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের ওপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োজন ছিল, সেদিকে আপনারা ফোকাস করেননি।
তিনি বলেন, আপনারা যত বেশি চাপে রাখবেন, আমরা তত বেশি এ বিষয়টাকে (বিচার) সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দৃঢ় সচেষ্ট থাকব। আপনারা যত বেশি অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করবেন, আমরা রাষ্ট্র এবং জনগণের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তত বেশি এজেন্ডাভিত্তিক সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাব।
বিচারের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে আলোচনা কম হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল চ্যালেঞ্জের জায়গাটা কী, সেটা আমাদের বলবেন। আমরা যেন যৌক্তিক সমাধানের জায়গায় যেতে পারি, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, আমার কাছে চ্যালেঞ্জের প্রধান জায়গাটা হলো—জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা রাস্তায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলাম; সেই লক্ষ্য, সেই ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা, সেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করার যে ঐক্য, সেই ঐক্যটাতে যে ফাটল ধরেছে, সেই ফাটলটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পার্সোনাল ইন্টারেস্ট এক্সপোজ করার জন্য মামলা দিয়েছেন, এই মামলাগুলোর পরিণতি কী হবে এবং এটার সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে মামলা, তার কোনো কনফ্লিক্ট হবে কি না? আপনাদের আইনিভাবে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, সেটি ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ বিশেষ ট্রাইবুনাল-১৯৭৩ এর ১৯ নাম্বার আইন। সেই আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা, নির্যাতন, গুমসহ অনেকগুলো অপরাধের কথা বলা হয়েছে, যে অপরাধগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিভিলিয়ান পপুলেশনের ওপর ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার বিচার হবে। ওই আইনে বলা আছে, ডোমেস্টিক অন্যান্য আইনে যা-ই বলা থাকুক না কেন, ওইটার বিচার ওখানে হবে। অর্ডিনারি গুমের বিচার, খুনের বিচার, নির্যাতনের বিচার, নিপীড়নের বিচার, এইগুলো অর্ডিনারি কোর্টে হতে কোনো বাধা নেই এবং সেটাও চলবে।
এই বিচারটায় আমরা কি প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি, এমন অনেক প্রশ্ন আসছে, জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, আমরা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছি না। আমরা বিচার করতে চাচ্ছি। কেন বিচার করতে চাচ্ছি? আমরা আগামী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটি দায় থেকে মুক্ত করতে চাচ্ছি।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স